আমাদের গ্রাম সমাজভিত্তিক ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প

SOCIAL INNOVATION IN HEALTH CARE

আমাদের গ্রাম সমাজভিত্তিক ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প একটি সামাজিক উদ্ভাবনী সেবা কার্যক্রম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যে কোন মানুষ ধর্ম-বর্ণ-বয়স বা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সাশ্রয়ী মূল্যে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শ ও সেবা পেতে পারেন।

এই স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প কী ভাবে কাজ করে?

➤ যে কেউ তাঁর নিজের ফোন নাম্বার ও ব্যক্তিগত পরিচয় নিবন্ধন করে আমাদের গ্রাম স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের সেবা নিতে সদস্য হ’তে পারেন। কোন সদস্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার মুখোমুখি হলে তিনি তাঁর নিবন্ধিত নাম্বার থেকে আমাদের গ্রাম স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পে ফোন করবেন। ফোন ছাড়াও সমস্যার গুরুত্ব অনুযায়ী টেক্সট ম্যাসেজ (এসএমএস), ই-মেইল, ভিডিও কলও করা যাবে।

➤ প্রাথমিক পরামর্শ দিতে স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের কর্মীগণ একটি নির্ধারিত সময়ে (সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) আপনাকে সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এমনকি আপনার বাড়ি যেয়ে সেবা দিতেও প্রস্তুত আছে। আপনার বাড়ির আশেপাশে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন যারা আপনার অসুখের সংবাদ পেলেই আপনার বাড়ি যেয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রের সাথে আপনাকে ফোনে বা ভিডিওতে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। এর পরে, ধাপে ধাপে মেডিক্যাল সহকারী > চিকিৎসক > চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগণ আপনাকে ফোনে বা ভিডিওতে সেবা দেবেন।

➤ কোন পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে বা সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে চাইলে প্রকল্পের নিজস্ব কেন্দ্রে বা নিকটস্থ সরকারী সেবা কেন্দ্রে বা আপনার পছন্দ অনুযায়ী কোন বেসরকারী কেন্দ্রে আপনি যেতে পারেন। সেসব নিরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের কাছে ফোনে ছবি তুলে বা ই-মেইলে বা আমাদের গ্রাম কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় মেডিক্যাল রেকর্ড সিস্টেমের মাধ্যমে প্রকল্পের দেয়া নির্ধারিত নাম্বার বা ই-মেইলে পাঠালে সেসব বিশ্লেষণ করে আমাদের চিকিৎসকগণ পরবর্তী করণীয় অথবা ব্যবস্থাপত্র পাঠাবেন। যে কোন প্রয়োজনে আপনি প্রকল্পের কর্মীদের কাছ থেকে বা গুরুত্ব অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়েও অসুখের যে কোন পর্যায়ের পরামর্শ নিতে পারবেন।

➤ আপনার জানা দরকার- আপনার সকল ব্যাক্তিগত তথ্য, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য প্রকল্পের নিজস্ব তথ্য ভান্ডারে উপযুক্ত নিরাপত্তা সহকারে সংরক্ষণ করা থাকবে। আপনার লিখিত অনুমতি ছাড়া কখনওই এসব তথ্য আর কারও কাছে দেয়া হবে না।

সেবা পেতে এই ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করুন-

মোবাইলে ফরম পেতে এই QR কোড স্ক্যান করে নিন

Form QR Code
কেন এই প্রকল্প?

আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ সামান্য স্বাস্থ্যগত কারণেই হাসপাতালে বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেয়ে থাকেন যা কাম্য নয়। অপরদিকে গ্রামাঞ্চলের জনগণ অতি প্রয়োজনেও চিকিৎসার যথাযথ সুবিধা না পেয়ে বা অসচেতনতার কারণে রোগ-ব্যাধি পুষে রেখে যখন চিকিৎসার জন্যে যান তখন শারীরিক অসুবিধা জটিলতর হয়ে পড়ে। ফলে চিকিৎসার খরচ বেশী হয় যা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই বহন করা সম্ভব হয়না। এসব কারণেই জনগণের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায় ও রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে একটি অসহনীয় চাপ নেমে আসে। সঙ্গত কারণে দেশের অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বাংলাদেশ সরকার গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র-সহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা কর্মীদের নিয়োজিত করা হয়েছে। শহরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে গ্রাম পর্যায়ে সরকারী স্বাস্থ্য সুবিধার সাথে সমন্বয় করে যদি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় তাহলে বেশীরভাগ মানুষ ঘরে বসে নামমাত্র মূল্যে সেবা পেতে পারেন। এতে দূরবর্তী শহরে যাতায়তের দুর্ভোগ, আর্থিক অসুবিধা ইত্যাদি লাঘবের সুযোগ হয়। অনেক দেশের অভিজ্ঞতা ও এসব বিষয়ে নানা গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এরকম ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে খুব সহজেই স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব।

তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূর-নিরীক্ষণের মাধ্যমে ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ের সরকারী, বেসরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দেশের বেশীরভাগ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার সেবা ঘরে বসেই পেতে পারে। এ লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘদিন তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যান্সার ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগ পরিচর্যায় আমাদের গ্রাম প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে ও সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।

মূলতঃ বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরবর্তীকালের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের গ্রাম প্রকল্পের এই ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা, যাতে দেশের মানুষ যথাসম্ভব বাড়িতে থেকে ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সাশ্রয়ী মূল্যে একটি উপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারে।

গত ১২ বছর যাবত বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে আমাদের গ্রাম প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসকবর্গ ও বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় ক্যান্সার-সহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ নির্ণয় ও পরামর্শ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের নিজস্ব ইলেকট্রনিক মেডিক্যাল রেকর্ড ব্যবস্থা রয়েছে যাতে ২০১০ সাল থেকে এ যাবত সেবাপ্রাপ্ত সকল রোগীর বিস্তারিত সেবার বিবরণ নথিভুক্ত আছে যা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত।

আমরা সবাই জানি যে, এই মারাত্মক ভাইরাস মানুষের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে এক ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষকে ভবিষ্যৎ দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে হবে কারণ বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন এই ভাইরাসের ও মানুষ-পরিবেশ-প্রকৃতির সহ-অবস্থান এখনও সুদূরপ্রসারী গবেষণার বিষয়। তাই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে এন্টিবডি নিশ্চিত হতে, টিকা আবিষ্কার ও তার প্রয়োগের যথার্থ ফলাফল পেতে ও চিকিৎসা কৌশল হাতে পেতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হবে। ফলে জীবন ও জীবিকা এখন এক বড়ো রকমের দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছে ও পৃথিবীব্যাপী চিকিৎসাবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীগণ এর প্রতিকার খুঁজছেন।

যেহেতু আমাদের গ্রাম প্রকল্প বাংলাদেশের একটি নির্ধারিত ভৌগোলিক অঞ্চলে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় কাজ করে থাকে ও গ্রামাঞ্চলে তথ্য-প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণে এই প্রকল্পের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ ভূমিকা আছে, ফলে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যে, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে কাজ করবে। প্রকল্পের সকল কর্মী তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী ও প্রকল্পের নিজস্ব উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের জন্যে মাইক্রোসফটের নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা মাধ্যম ‘টীমস হেলথকেয়ার’ ব্যবহারের অনুমতি আছে যা সেবাপ্রার্থীর সকল ব্যাক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহায়ক। বিশেষ করে দেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশী অনেক চিকিৎসক এই প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ও ইতোমধ্যে অনেকেই সম্পৃক্ত হয়েছেন যার পরিধি ক্রমশ বাড়ছে।

এই প্রকল্প ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ প্রণীত ‘টেলিমেডিসিন গাইডলাইন ২০২০’ অনুসরণ করে কাজ করছে।

প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য

প্রকল্প কর্তৃক বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায়, বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে ও দেশের অন্যান্য জেলায় ইতোপূর্বে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সমন্বয় ও একীভূত করে সুসমন্বিত গবেষণা (Empirical) কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখা।

our-mission
আমাদের বিশেষত্ব কি?

ইলেক্ট্রনিক মেডিক্যাল রেকর্ড

সকল সদস্যের ও সেবাপ্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ও অসুখের তথ্য আমাদের নিজস্ব নিরাপদ ক্লাউড ব্যবস্থাপনায় সুরক্ষিত

বাড়ি যেয়ে সেবাদান

স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের কর্মীগণ জরুরী প্রয়োজনে আপনার বাড়ি যেয়ে সেবা পরামর্শ দিতে বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিতে প্রতিশ্রুত

মানসম্মত সেবা

আমরা বিশেষজ্ঞ সেবা নিশ্চিত করে আপনাকে মানসম্মত পরামর্শ ও করণীয় ঠিক করে দিতে বদ্ধ পরিকর

অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রকল্প

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের গ্রাম প্রকল্পের দক্ষ কর্মীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে রামপালের শ্রীফলতলা গ্রামে প্রকল্পের আধুনিক ও তথ্য-প্রযুক্তি সেবা সমন্বিত সুসজ্জিত নিজস্ব ভবনে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ‘সমাজভিত্তিক ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম’ পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচী যথাযথ মূল্যায়ন করে দেশের অন্যান্য জেলায় সম্প্রসারণ করা হবে।

health-agg
প্রকল্পের কাজের সুনির্দিষ্ট ধাপসমূহ

ফোন বা তথ্য-প্রযুক্তির অন্যান্য মাধ্যমে ভার্চুয়াল যোগাযোগ ছাড়াও যে কোন গ্রাহক বা সেবাপ্রার্থীর আমাদের গ্রাম শ্রীফলতলা কেন্দ্রে এসে সেবা গ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা আছে। দেশের অন্যান্য জেলায় এই মডেলে আরও কেন্দ্র স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে।

সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখছে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী (স্বাস্থ্যসেবী) ও প্রকল্পের সেবা সমন্বয়ক স্বাস্থ্যকর্মী। সেবাপ্রার্থী সকল সদস্য এদের সাথেই প্রাথমিক যোগাযোগ করে থাকেন ও প্রত্যেক ‘স্বাস্থ্যসেবী’ তাঁর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সদস্যের প্রাথমিক তথ্যের অভিগম্যতা বা এক্সেস পেয়ে থাকেন। সে মতে নতুন কোন স্বাস্থ্যগত অসুবিধার তথ্য জানা মাত্র তিনি তাঁর ফোনের নির্ধারিত অ্যাপের মাধ্যমে সেসব তথ্য এন্ট্রি করেন যা মুহুর্তে দ্বিতীয় ধাপের সেবাদানকারী কেন্দ্রের ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ (মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট) দেখতে পেয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিতে তৎপর হন। প্রাথমিক পর্যালোচনা ও প্রতিবিধানের পরে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পরবর্তী ধাপে যে কোন সেবাপ্রার্থীকে প্রয়োজন অনুসারে কেন্দ্রে ‘মেডিক্যাল অফিসারে’র সাথে সরাসরি বা ভিডিওতে সংযোগ ঘটিয়ে দিয়ে থাকেন। ‘মেডিক্যাল অফিসার’ প্রয়োজন অনুসারে সেবাপ্রার্থীকে স্থানীয় সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র, হাসপাতাল বা প্রকল্পের সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে সংযোগ ঘটিয়ে দেন।

বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় রামপালের ঝনঝনিয়াস্থ আমাদের গ্রাম কেন্দ্রে প্রকল্পের নিজস্ব ভূমিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরামর্শ কেন্দ্র (কোভিড-১৯ নির্ণয়ের সুবিধা-সহ ডায়াগোনস্টিক সেন্টার) স্থাপিত হচ্ছে। এর স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে যার মাধ্যমে সংক্রামক ও অসংক্রামক উভয় রোগ নির্ণয়ে সেবাপ্রার্থীদের সহায়তা দেয়া হবে।

কার্যকরী নৈপুণ্য

আমাদের সেবা জন-কেন্দ্রিক, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ নিশ্চিত ও নিরাপদ ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল

পরিধি বাড়ছে

আমরা চেষ্টা করি যাতে প্রকল্পের কাজে মানুষের আস্থা বজায় থাকে তাই গত ১২ বছরে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার পরিধি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে

বিশেষজ্ঞ টিম

দেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশী অনেক চিকিৎসক এই প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত

20000+
PATIENT SEEN
1+
DISTRICT COVERED
1+
EMPLOYMENT
1+
YEARS OF EXPERIENCE
সেবা পেতে খরচ

আমাদের গ্রাম ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের অধীনে অনলাইনে বা সরাসরি কেন্দ্রে এসে সেবা পেতে আগ্রহী গ্রাহকের জন্য সদস্য ফি এককালীন ২০০ (দুইশত) টাকা ও সেবা ফি বার্ষিক ১০০০ (এক হাজার) টাকা যা এককালীন বা বছরের নানা সময়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরিশোধযোগ্য। একজন সদস্য এই সেবা ফি প্রদানের মাধ্যমে নিবন্ধন নাম্বারযুক্ত একটি 'স্বাস্থ্য কার্ড' পাবেন যার অধীনে পরিবারের নিবন্ধিত মোট ৪ জনের চিকিৎসা পরামর্শ পুরো এক বছর পাবেন, এর জন্যে আর কোন বাড়তি টাকা দিতে হবে না। সেবার মধ্যে থাকবে যে কোন দৈনন্দিন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় টেলিফোন, ই-মেইল বা ভিডিও সেবা, জরুরী ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন)।

সেবা তালিকা

১। ক্যান্সার ও অসংক্রামক রোগ নিরূপণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পরিচর্যা পরামর্শ (উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনী রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য)।

২। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা পরামর্শ (মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, পুষ্টি মানোন্নয়ন, নিরাপদ পানীয়জল পেতে ও সরবরাহে করণীয়, মৌলিক পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা, বাল্য বিবাহ ও অকাল গর্ভধারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি পরামর্শ, পরিবার পরিকল্পনা, প্রতিষেধক টীকাদান সমন্বয় ও পরামর্শ, স্বল্প আঘাত ও সাধারণ অসুস্থতা, সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ)।

৩। জরুরী স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ (প্রাথমিক প্রতিবিধান বা ফার্স্ট এইড, সাপে কাটা, পানিতে ডুবে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া)।

৪। সকল ক্ষেত্রে পরামর্শ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র ছাড়াও জরুরী পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা (রক্তচাপ পরীক্ষা, ডায়াবেটিস নিরীক্ষণ, অক্সিজেন মাত্রা নিরূপণ, আল্ট্রাসাউন্ড নিরীক্ষা ও ধাপে ধাপে ইসিজি পরীক্ষা-সহ অন্যান্য পরীক্ষা)।

৫। আমাদের গ্রাম ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটি ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নিজস্ব ডায়াগোনস্টিক ল্যাব। স্থানীয় জনসাধারণ সেবা নিতে কেন্দ্রে এলে একই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজও সম্পন্ন করতে পারেন। পরীক্ষার পর সেবা গ্রহীতা অনলাইনে বা এস এম এস-র মাধ্যমে তার রিপোর্ট গ্রহণ করতে পারেন অথবা সেবা প্রত্যাশী সরাসরিও গ্রহণ করতে পারেন। ফলে একজন সেবা প্রত্যাশী একবার আমাদের গ্রাম ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এলে সম্পূর্ণ সেবা নিয়ে ফিরতে পারেন।

আশা করা যাচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে এইসব সেবা নিশ্চিত করা গেলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপর চাপ কমে আসবে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।

স্বাস্থ্যসেবার ধাপসমূহ

ধাপ-১

সদস্য নিজে বা পরিবারের নিবন্ধিত কোন সদস্য অসুস্থবোধ করলে সেবাকেন্দ্রের নির্ধারিত নাম্বারে ফোন করবেন (সকল সদস্যের কাছে এই নাম্বার দেয়া আছে)

ধাপ-২

স্বেচ্ছাসেবী কর্মী প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শ দেবেন ও ব্যবস্থা নেবেন বা গুরুত্ব অনুযায়ী কেন্দ্রের চিকিৎসা সহকারী (মেডিক্যাল এসিস্টেন্ট)-এর কাছে সব তথ্য পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক সংযোগ ঘটিয়ে দেবেন।

ধাপ-৩

চিকিৎসা সহকারী সব তথ্য বিবেচনা করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেবেন। তিনি প্রয়োজন মনে করলে গুরুত্ব অনুযায়ী মেডিক্যাল অফিসার বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রেফার করবেন।

ধাপ-৪

সকল ধাপে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র সদস্যের কাছে পাঠানো হবে ও সকল তথ্য প্রকল্পের নিজস্ব তথ্য ভান্ডারে সুরক্ষিত থাকবে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা

আমাদের গ্রাম স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এই সেবার অধীনে থাকছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবর্গের ভিডিও বার্তা, ভিডিও প্রশিক্ষণ ক্লাস ও সেবাপ্রাপ্ত মানুষের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উদ্যোগ। এই সেবা একই সাথে ইউ টিউবের মাধ্যমেও প্রচারিত হয়।

health-ag
সেবার জন্যে যোগাযোগ

সদস্য হতে এই ফরম পূরণ করুন, আমাদের গ্রাম স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের পক্ষ থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে।

অথবা ফোন করুন এই নাম্বারে ০১৭৩০০১৩৭০৫ বা আই পি ফোন- ০৯৬০২৬৬৬৫১৪ নাম্বারে বা ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়- agsheba@bfes.net

সরাসরি শ্রীফলতলা, রামপাল কেন্দ্রে এসে স্বাস্থ্য সেবা নিতে তথ্য জানার জন্যে বা সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন- ০৯৬০২৬৬৬৫১৪ নাম্বারে

qr-code